ই-পাসপোর্ট কি? পাসপোর্ট এর বাংলা অর্থ হচ্ছে ছাড়পত্র, নিষ্ক্রমপত্র, মুক্তিপত্র, খালাসপত্র, প্রবেশাধিকার ইত্যাদি। পাসপোর্ট এমন একটি প্রয়োজনীয় কাগজ বা ভ্রমণ নথি যা আপনার আন্তর্জাতিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে। এটি আন্তর্জাতিক ভ্রমনের সময় বাহকের জাতীয়তা ও পরিচয় প্রত্যয়িত করে। যা একটি আন্তর্জাতিক পরিচয়পত্র হিসাবে গন্য করা হয়।
একটি পাসপোর্টে সাধারণত বাহকের নাম, জন্মের তারিখ ও স্থান, ছবি, স্বাক্ষর, এবং অন্যান্য চিহ্নিতকরণের তথ্য থাকে। যেখানে পাসপোর্ট বহনকারী সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য লিপিবদ্ধ থাকে। এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমনের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্র থেকে বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এটি ইস্যু করে থাকে। যেমন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর থেকে আমাদের দেশের সকল নাগরিকদের জন্য পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়।
ই-পাসপোর্ট কি?
ই-পাসপোর্ট হলো একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট যাতে একটি এমবেডেড ইলেক্ট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ রয়েছে। ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপের মধ্যে রয়েছে বায়োমেট্রিক তথ্য যা পাসপোর্টধারীর পরিচয় প্রমাণের জন্য ব্যবহার করা হয়। এতে মাইক্রেপ্রসেসর চিপ (কম্পিউটার চিপ) এবং আ্যান্টেনাসহ স্মার্ট কার্ড প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। পাসপোর্টের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চিপে সংরক্ষণ করা হয়।

বর্তমানে ই-পাসপোর্টে যে সকল বায়োমেট্রিক গ্রহণ করা হয় তা হলোঃ ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও আইরিশ। ইলেকট্রনিক বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থা (ই-বর্ডার) ছাড়া পাসপোর্ট চিপের বাইরের বায়োমেট্রিক বৈশিষ্ট্যগুলির তুলনামূলক যাচাই করা হয়। এটি সম্পূর্ণভাবে হলে পাসপোর্ট জালিয়াতি করা কঠিন হবে। এ পর্যন্ত ১২০ টি দেশে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করা হয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বে ১১৯তম দেশ হিসেবে, গত ২২শে জানুয়ারি ২০২০ তারিখ হতে ডিজিটাল সুবিধা সম্বলিত ই-পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ।
কীভাবে করবেন ই-পাসপোর্ট?
এখন যে কেউ ঘরে বসে নিজেই নিজের ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ঘরে বসে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে কী লাগে, ই-পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম ও খরচ, কত দিনে পাওয়া যায় ইত্যাদি সম্পর্কে জানা জরুরি।

কেননা, একটি ই–পাসপোর্ট আবেদন জমা দেওয়ার (সাবমিট করা) পর যদি দেখেন, কোথাও ভুল হয়েছে, তাহলে আপনি তা সংশোধন করার সুযোগ পাবেন না। সেই সঙ্গে, একটি ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে একবারই ই–পাসপার্টের জন্য আবেদন করা যায়।
ই-পাসপোর্ট করতে হলে কি করতে হবে?
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য, Bangladesh e-Passport Application Portal ওয়েবসাইট www.epassport.gov.bd ভিজিট করুন। তারপর, মেনু থেকে “Apply Online” অপশনটি বাছাই করে, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এবং থানা নির্বাচন করুন। এরপরে, আপনার ইমেইল, নাম পাসওয়ার্ড ও মোবাইল নাম্বার দিয়ে www.epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
পরবর্তীতে, ধাপে ধাপে নিজ ব্যক্তিগত তথ্য সহ পেশা, পিতা-মাতা, স্বামী-স্ত্রী সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা ও জরুরী যোগাযোগের ঠিকানা পূরণ করতে হবে। পাসপোর্ট আবেদন করা শেষ হলে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কিংবা ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে।
শুধুমাত্র ঢাকার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিস্টেম থাকলেও ঢাকা জেলার বাইরে আপনি যেকোনো দিন আবেদন জমা দিতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন জমা দেওয়ার তারিখ পাওয়া দেখা যাবে। আর বর্তমানে পাসপোর্ট করতে কোনো ছবি লাগে না! এমনকি কাগজপত্র সত্যায়ন করার ঝামেলাও নেই।
কীভাবে করবেন ই-পাসপোর্ট? ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম, ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ও খরচ কত টাকা লাগে? এ সকল বিষয় নিচের লিঙ্কের পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবরপাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম
https://www.epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলার পর, ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে। ওয়েবসাইটে ঢুকে ‘Directly to online application’–এ ক্লিক করতে হবে। সেখানে শুরুতেই Apply Online for e‑Passport / Re‑Issue বাটনে ক্লিক করে আবেদন শুরু করা যাবে।
দালাল ছাড়া নিজে নিজে আবেদন করার পর, পাসপোর্ট অফিসে অনেক হেনস্তার স্বীকার হতে হয়। তাই, আবেদন করার আগে ভালোভাবে ঘাটাঘাটি করে অনেক তথ্য দেখে নিতে হবে, যাতে করে পরবর্তীতে আপনি কোনো ঝামেলায় পড়তে না হয়।
আরো দেখুন: ই-পাসপোর্ট আবেদনের পাঁচটি ধাপ।
আবেদনের পর কি করতে হবে?
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন পূরণ করে, পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করার পর ফাইল জমা, ছবি তোলা ও আঙুলের ছাপ দেওয়ার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ডেট নেবেন।
তারপর নির্ধারিত তারিখে অনলাইন আবেদন ফরমের কপি, পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রিসিট (চালান কপি), বাসার বিদ্যুৎ বা গ্যাস বিলের কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও পুরান পাসপোর্টের কপিসহ, আপনার জেলার পাসপোর্ট অফিসে যাবেন। সঙ্গে অবশ্যই মূল কাগজপত্রগুলোও সঙ্গে নেবেন।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?
এরপর কাগজ জমা, ছবি ও আঙুলের ছাপ দেওয়ার জন্য পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে লাইনে দাঁড়াবেন। ছবি তোলা, ডিজিটাল সিগনেচার, দশ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি গ্রহণ শেষে আপনাকে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যসহ একটি ডেলিভারি স্লিপ দেওয়া হবে। এটি যত্ন করে রাখবেন। হারালে জিডি করতে হবে।
ই-পাসপোর্টে ভাল ছবির জন্য রঙিন জামা পরিধান আবশ্যক।
পাসপোর্ট গ্রহণের সময় ডেলিভারি স্লিপ দেখানো বাধ্যতামূলক। আপনার পাসপোর্ট হয়ে গেলে আপনাকে মেসেজ করে জানাবে। এরপর আপনি পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আপনার পাসপোর্ট নিয়ে আসবেন। একজনের পাসপোর্ট আরেকজন সংগ্রহ করতে অথোরাইজেশন লেটার প্রয়োজন হয়।
এ সংক্রান্ত আরও খবর- পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ হারিয়ে গেলে করণীয়
- ডেলিভারি স্লিপ হারানোর জিডি আবেদন
- পাসপোর্ট অথরাইজেশন লেটার
পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে?
একজন প্রাপ্তবয়স্কের ই-পাসপোর্ট করতে ফরম পূরণ করে জাতীয় পরিচয়পত্র/স্মার্ট কার্ড এবং ছবি জমা দিতে হবে। এ ছাড়া ১৮-এর কমবয়সীদের জন্য জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট, বাবা-মায়ের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হবে।
আরো পড়ুন: ই-পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ
পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?
বাংলাদেশি আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের ক্ষেত্রে সাধারণ (২১ কর্মদিবস) ফি ৪ হাজার ২৫ টাকা, জরুরি (১০ কর্মদিবস) ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা ও অতীব জরুরি (২ কর্মদিবস) ফি ৮ হাজার ৬২৫ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫ হাজার ৭৫০ টাকা, জরুরি ফি ৮ হাজার ৫০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১০ হাজার ৩৫০ টাকা।
৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের জন্য সাধারণ ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা, জরুরি ফি ৮ হাজার ৬২৫ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১২ হাজার ৭৫ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৮ হাজার ৫০ টাকা, জরুরি ফি ১০ হাজার ৩৫০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১৩ হাজার ৮০০ টাকা। সব ফির সঙ্গে যুক্ত হবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট। ১৮ বছরের কম এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী আবেদনকারীরা কেবলমাত্র ৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট পাবেন। অতি জরুরি আবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশ প্রতিবেদন সঙ্গে আনতে হবে।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
ই-পাসপোর্টের সুবিধা
ই-পাসপোর্টের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এর মাধ্যমে ই-গেট ব্যবহার করে খুব দ্রুত ও সহজে ভ্রমণকারীরা যাতায়াত করতে পারবেন। ফলে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এর মাধ্যমেই ইমিগ্রেশন দ্রুত হয়ে যাবে।

ই-গেটের নির্দিষ্ট স্থানে পাসপোর্ট রেখে দাঁড়ালে ক্যামেরা ছবি তুলে নেবে। থাকবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাইয়ের ব্যবস্থাও। সব ঠিক থাকলে তিনি ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবেন। কোনো গরমিল থাকলে জ্বলে উঠবে লালবাতি। কারও বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকলে, সেটিও জানা যাবে সঙ্গে সঙ্গে।
ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অরগানাইজেশন (আইসিএও) এই পিকেডি পরিচালনা করে। ফলে ইন্টারপোলসহ বিমান ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য যাচাই করতে পারে। এখানে ৩৮টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকায় এ ধরনের পাসপোর্ট জাল করা সহজ নয়।
আরও পড়ুন: ই-পাসপোর্ট কী, কেন এটা দরকার, কিভাবে কাজ করে, কবে থেকে পাওয়া যাবে?
পাসপোর্ট ও ভিসার মধ্যে পার্থক্য কী?
পাসপোর্ট হচ্ছে অনেকটা নো অবজেকসন সার্টিফিকেটেরর মতো, যা বিদেশ ভ্রমণেচ্ছু নাগরিকদের স্বদেশীয় সরকার প্রদান করে থাকে। আর ভিসা হলো কোনো দেশে যাওয়ার অনুমতি পত্র। এক কথায়, পাসপোর্ট হলো আপনি বিদেশে যেতে নিজের দেশ থেকে কোনো আপত্তি না থাকার প্রমাণ। আর ভিসা হলো, যে দেশে যাবেন, ওই দেশে যাওয়ার অনুমোদন এবং থাকার অনুমোদন। পাসপোর্ট না থাকলে ভিসার আবেদনই করা যায় না।
পাসপোর্ট হল আপনার জাতীয়তা সনদ পত্র আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবহারের জন্য। ভিসা হল কোন দেশ কর্তৃক ঐ দেশে বিদেশিদের ঢোকার জন্য ঐ দেশের অনুমতিপত্র।
পাসপোর্ট হলো আপনার পরিচয় পত্র যেটা অন্য দেশে গেলে আপনার পরিচয় বহন করবে। নিজের পরিচয় দিতে পাসপোর্ট ব্যবহার করা হয়। ভিসা হলো একটি অনুমতি পত্র যা একটি দেশ কোন বিদেশী নাগরিককে ঐ দেশে প্রবেশ ও অবস্থানের জন্য দিয়ে থাকে। ভিসা ছাড়া ভিন দেশে প্রবেশ ও অবস্থান অবৈধ অভিবাসন হিসাবে পরিগণিত। পাসপোর্ট একটি আইনী দলিল যা বিদেশে ভ্রমণ করতে হবে।
পাসপোর্টকে একটি সরকারী ভ্রমণ নথি হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে যা কোনও দেশের সরকার তার নাগরিকদের কাছে আবেদনের মাধ্যমে জারি করে, যা বহনকারীর পরিচয় এবং জাতীয়তার প্রমাণ দিয়ে তাদের আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণ করতে দেয়। অন্যদিকে, ভিসা বলতে দেশের প্রতিনিধিদের দ্বারা বিদেশী নাগরিককে দেওয়া শর্তসাপেক্ষ অনুমোদন বোঝায়, যা বহনকারীকে নির্দিষ্ট সময়কালে দেশে বেড়াতে এবং থাকার অনুমতি দেয়। পাসপোর্ট বহনকারীটির ব্যক্তিগত পরিচয় হিসাবে কাজ করে, যেখানে ভিসা দেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণ বা থাকার জন্য একটি সরকারী অনুমতি হিসাবে পরিগণিত হয়।
পাসপোর্ট কোনও আইনী দলিলের আকারে থাকতে পারে, যখন ভিসা পাসপোর্টে স্ট্যাম্পের মতো সংযুক্ত থাকে। পাসপোর্ট হ’ল একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল যা কোনও ব্যক্তির বিদেশ বিদেশে ভ্রমণ করার সময় সনাক্ত করার জন্য প্রয়োজন, এবং সে যে দেশে থেকে সে দেশে প্রবেশ করতে হবে। বিপরীতে, বিদেশে প্রবেশ করতে অবশ্যই ভিসা থাকতে হবে।
পাসপোর্ট বানাতে সর্বনিম্ন বয়স কত?
পাসপোর্ট বানাতে সর্বনিম্ন বয়স কতো? যেকোন বয়সের মানুষই পাসপোর্ট বানাইতে পারেন যদি তার বিদেশ ভ্রমনের প্রয়োজন পড়ে। পাসপোর্ট বানাতে সর্বনিম্ন বয়স ১ দিন!
তবে, বয়স ও পেশার ভিত্তিতে সেই আবেদনের নিয়মে অল্প কিছু পার্থক্য আছে। নবজাতক থেকে অনূর্ধ্ব ৬ বছর এবং তারপর থেকে অনূর্ধ্ব ১৮ বছরের শিশুদের জন্য আবেদনের প্রয়োজনীয় নথিপত্রে সামান্য তারতম্য থাকে। আবার, বয়স অনুযায়ী পাসপোর্টের মেয়াদ পৃষ্ঠা নির্ভর করে। যেমন, ১৮ বছরের নিম্নের এবং ৬৫ বছরের উর্ধ্বে সকল আবেদনে ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ০৫ বছর এবং ৪৮ পৃষ্ঠার।
১৮ বছরের নিচে যে কোনো বয়সের শিশুর জন্য শুধুমাত্র ৫ বছর মেয়াদী ৪৮ পাতার পাসপোর্ট নির্বাচন করতে হবে। আর ৬৫ বছরের উর্ধ্বে যে কোনো বয়সের শিশুর জন্য শুধুমাত্র ৫ বছর মেয়াদী ৪৮ পাতার পাসপোর্ট নির্বাচন করতে হবে।
পাসপোর্ট সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য
স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭৩ সালে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী ২০১৯ সালে এপ্রিল মাস পর্যন্ত প্রায় আড়াই কোটি মানুষের পাসপোর্ট রয়েছে। ২০১০ সালের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সব পাসপোর্ট হাতে লেখা ছিল। এরপর মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও বর্তমানে বায়োমেট্রিক ই-পাসপোর্ট চালু আছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাসপোর্টের রং ভিন্ন ভিন্ন হয়। কিন্তু যে দেশ যে রং এরই পাসপোর্ট দিক না কেন, সেটা অবশ্যই ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইকাও) এর কাছ থেকে পাসপোর্ট এর রং আর নকশার ছাড়পত্র নিতে হয়। সাধারণভাবে পৃথিবীতে লাল, নীল, সবুজ ও কালো এই চারটি রং এর ভিন্ন ভিন্ন শেড এর হয়।
পৃথিবীর সব দেশের পাসপোর্টের মাপ একই হয়। আর এই মাপটি নির্ধারিত হয় আইকাও এর বেধে দেয়া নিয়ম অনুসারে। আইকাও নির্দেশনা অনুযায়ী এর মাপ নির্ধারণের কয়েকটি কারণ রয়েছে। যেমন: আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে আলাদা মাপের পাসপোর্ট নিরীক্ষা করার জন্য এয়াপোর্টে ভিন্ন আকৃতির মেশিন প্রয়োজন হবে ,যা স্থাপন করা জটিল এবং সেটি নিয়ন্ত্রণও করাও ব্যয় সাপেক্ষ ও দুরূহ।
সূত্র: ই‑পাসপোর্ট অনলাইন পোর্টাল, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, ডেইলি স্টার, বিবিসি, সময় টিভি