Passport

ই-পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম (২০২৪)

এখন খুব সহজে ঘরে বসে ই-পাসপোর্ট আবেদন করতে পারেন। অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম বিস্তারিত বর্ণনাসহ জেনে নিন। আর নিজে নিজে দালাল ছাড়া পাসপোর্ট আবেদন করুন।

আপনি চাইলে খুব সহজে ঘরে বসে ই-পাসপোর্ট করার আবেদন করতে পারেন। অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম বিস্তারিত বর্ণনাসহ দেখে নিন, কিভাবে ধাপে ধাপে ই-পাসপোর্ট করার জন্য আবেদন সম্পন্ন করতে হয়।

পাসপোর্ট করার নিয়ম: এই পোস্ট থেকে আপনি পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম, পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে, পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে, পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন। এবং ই-পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা।

আমার নিজের ই-পাসপোর্ট করার অভিজ্ঞতার আলোকে, আমি যেভাবে সাধারণ ডেলিভারিতে আবেদন করেছিলাম, ফিঙ্গারপ্রিন্ট জমা দেওয়া এবং মাত্র ২০ কর্মদিবসে পাসপোর্ট হাতে পেয়েছি। তার বিস্তারিত ধারণাগুলো এখানে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।

পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম

দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করা যায় না এমন একটি ভুল ধারণা আমাদের অনেকের মাঝেই কাজ করে। আপনার কাছে যদি একটি স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার থাকে তাহলে নিজে নিজেই অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম ২০২৪

অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য Bangladesh e-Passport Portal ওয়েবসাইট ভিজিট করুন- epassport.gov.bd এবং মেনু থেকে “Apply Online” অপশনটি বাছাই করে, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এবং থানা নির্বাচন করুন। একটি সচল ইমেইল এড্রেস এবং নিজের ব্যক্তিগত তথ্য সহ পিতা-মাতা তথ্য ও জরুরী যোগাযোগের ঠিকানা পূরণ করতে হবে। পাসপোর্টের মেয়াদ এবং ডেলিভারি ধরন নিশ্চিত করে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।

ই-পাসপোর্ট করার ধাপসমূহ: ই-পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে কয়েকটি ধাপ আছে যা ক্রমান্বয়ে নিচে দেওয়া হল:  

১) অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন।
২) পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়া।
৩) পাসপোর্ট সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট রেডি করা।
৪) আবেদন ফর্ম পাসপোর্ট অফিসে জমা দেওয়া।
৫) ছবি তোলা, বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন দেওয়া।
৬) পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ গ্রহণ।
৭) নিয়মিত পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক।
৮) পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করা।
৯) পাসপোর্ট সংগ্রহ।

অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন করবেন কীভাবে?

এখন চলুন জেনে নিই, ই-পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন কীভাবে করবেন। ই-পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

ধাপ ১: epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন

ই-পাসপোর্ট আবেদনের শুরুতেই আমাদের Bangladesh e-Passport Portal এ প্রবেশ করতে হবে। উপরের দেওয়া লিঙ্কটিতে ক্লিক করলে নিচের ছবির মত একটি ওয়েবসাইটে আপনি প্রবেশ করবেন। ePassport Online Portal

www.epassport.gov.bd

ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে ভিজিট করার পর, অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন কাজ শুরু করার জন্য নেভিগেশন মেনু থেকে Apply Online অথবা Directly to online application অপশনে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ ২: আঞ্চলিক অফিস ও থানা নির্বাচন

আপনি বাংলাদেশ থেকে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করে থাকলে Are you applying from Bangladesh? এর জায়গায় “Yes” সিলেক্ট করবেন। এরপরে আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নাম এবং নিজ থানার নাম সিলেক্ট করতে হবে। এক কথায়, এখানে আপনার জেলা ও পুলিশ থানার নাম সিলেক্ট করুন।

আঞ্চলিক অফিস ও থানা নির্বাচন
আঞ্চলিক অফিস ও থানা নির্বাচন

আর আপনি যদি বাংলাদেশের বাইরে অর্থাৎ বিদেশ থেকে ই-পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে চান সেক্ষেত্রে “No” সিলেক্ট করবেন। এরপর, আপনি যে দেশে থাকেন তার নাম ও দূতাবাস সিলেক্ট করুন।

উল্লেখ্য! সব দেশে এখন বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হয়নি। আবার যেসব দেশে চালু হয়েছে, সেখানেও সকল দূতাবাসে বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হয়নি। যেমন, ভারতে পাঁচটি দূতাবাস থাকলেও শুধুমাত্র চেন্নাই দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সুবিধা রয়েছে।

দেশ ও দূতাবাস নির্বাচন
দেশ ও দূতাবাস নির্বাচন

এবার আপনাকে আপনার ই-মেইল ভেরিফিকেশন করতে হবে। আপনার ই-মেইল অ্যাড্রেসটি লিখুন এবং নিচের রোবট ভেরিফিকেশন টিক দিয়ে Continue বাটন ক্লিক করুন।

ধাপ ৩: ই-মেইল অ্যাড্রেস

পরবর্তী ধাপে আপনাকে একটি সক্রিয় ইমেইল অ্যাড্রেস দিতে বলা হবে। আপনি সচরাচর ব্যবহার করেন এমন একটি ই-মেইল এড্রেস ইনপুট করবেন। আপনার ই-মেইল এড্রেসটি সঠিকভাবে ইনপুট হয়ে গেলে I am human ঘরে টিক দিয়ে সিকিউরিটি ক্যাপচা কোড ভেরিফাই করতে হবে।

Enter your email address
ই-মেইল ভেরিফিকেশন

ধাপ ৪: ই-পাসপোর্ট অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন

ইমেইল অ্যাড্রেস ইনপুট করার পর, ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এই অ্যাকাউন্টটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এই অ্যাকাউন্ট দিয়েই আপনি ই-পাসপোর্ট সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ করবেন, পাসপোর্টের সর্বশেষ স্ট্যাটাস সম্পর্কে জানতে পারবেন।

এখানে ইমেইল অ্যাড্রেস ভালো করে মিলিয়ে দেখে নিবেন। এরপরে, মনে রাখার মতো একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড সেট করবেন। পাসওয়ার্ডটি কোনো ডায়েরী বা খাতায় বা নোটপ্যাডে নোট করে রাখবেন।

ই-পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম (২০২৪)

এবার, আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রে বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধনে বা সার্টিফিকেটে যেভাবে নাম দেওয়া আছে ঠিক সেভাবেই আপনার নাম লিখতে হবে। তারপর আপনার মোবাইল নম্বর টাইপ করে, I am human এর পাশের বক্সে সিকিউরিটি ক্যাপচা কোড ভেরিফাই করে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।

Given Name এর জায়গায় নামের প্রথম অংশ এবং Surname এর জায়গায় নামের শেষ অংশ লিখবেন। আপনার বাবা-মায়ের NID-তে উনাদের নাম যেভাবেই থাকুক না কেনো! আপনি পাসপোর্ট করলে আপনার NID বা সার্টিফিকেট অনুযায়ী আবেদন করবেন।

আপনার কি এক শব্দের নাম? ধরুন আপনার নাম রুকাইয়া। আপনার নামের আগে বা পরে কিছু নেই। তাহলে শুধুমাত্র Surname -এর জায়গায় আপনার এক শব্দের নাম Rukaiya লিখবেন।

ই-পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম (২০২৪)

এখন, কান্ট্রি কোড সিলেক্ট করে আপনার সচল মোবাইল নাম্বার লিখবেন। (এই মোবাইল নাম্বারেই-পাসপোর্ট সংক্রান্ত সকল SMS পাঠানো হবে।) এরপরে ক্যাপচা ভেরিফাই করে Create Account বাটনে ক্লিক করবেন।

মনে রাখবেন, আপনি একটি অ্যাকাউন্ট দিয়ে সর্বোচ্চ ৬টি আবেদন করতে পারবেন।

তারপর এমন একটি পেইজ আপনাকে প্রদর্শন করিয়ে বলা হবে Step 4: Active e-Passport account তার মানে আপনি যে ইমেইল এড্রেসটি দিয়ে একাউন্ট খুললেন, সেই ইমেইলে একাউন্ট একটিভ করার জন্য একটিভেশন লিংক পাঠানো হয়েছে।

Step 4: Active e-Passport account

ধাপ ৫: ই-মেইল ভেরিফাই করুন

Create Account বাটনে ক্লিক করার পর, সার্ভার থেকে ইমেইল ভেরিফিকেশনের জন্য আপনাকে ইমেইলে পাঠানো হবে। সচরাচর ইমেইলটি ইনবক্সেই আসে। ভেরিফিকেশন মেইলটি ইনবক্সে দেখতে না পেলে, স্প্যাম অথবা জাংক ফোল্ডারে চেক করতে পারেন।

আপনাকে লিংকে ক্লিক করে আপনার ই-মেইলটি ভেরিফাই করতে হবে।
(অনেক সময় স্প্যাম ফোল্ডারেও মেইল আসতে পারে। তাই ভালো করে মেইল চেক করবেন।)

ePassport Online Portal: Please activate your account

মেইল ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে আপনি এমন একটি পেইজ দেখতে পাবেন।

Your account is activated

ইমেইল ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরির প্রাথমিক কাজ শেষ হবে। পরবর্তী ধাপগুলোর মাধ্যমে আপনি ই-পাসপোর্ট করার জন্য আবেদন করবেন।


ধাপ ৬: সাইন ইন করুন

ই-মেইল ভেরিফিকেশনের পর, পুনরায় ওয়েবসাইটে লগইন করুন।

Enter Online Registration Portal

ধাপ ৭: Apply for a New Passport

ওয়েবসাইটে সাইন ইন করার পর “Apply for a New Passport” বাটনে ক্লিক করে আবেদন করা শুরু করবেন।

Apply for a New Passport

ধাপ ৮: Passport Type

একটি পাসপোর্ট আবেদন করার মূল কাজ শুরু হয় এখান থেকে। Passport Type এর ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত দুই ধরণের পাসপোর্ট দেখতে পাই। একটি হলো অর্ডিনারি পাসপোর্ট এবং অন্যটি হচ্ছে অফিসিয়াল পাসপোর্ট

সাধারণ নাগরিক হিসেবে অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে আমাদেরকে অর্ডিনারি পাসপোর্ট বাছাই করতে হবে।

  • Ordinary Passport
  • Official Passport
Passport Type Selection
পাসপোর্ট টাইপ সিলেক্ট করুন

Passport Type হিসেবে সাধারণ পাসপোর্ট হলে “Ordinary” এবং সরকারি আদেশে বা NOC-এর মাধ্যমে পাসপোর্ট “Official” সিলেক্ট করুন। এখন “Save and continue”-তে ক্লিক করুন।

ধাপ ৯: Personal Information

এই পর্যায়ে আপনাকে ই-পাসপোর্ট আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ইনপুট করতে হবে। যেমন: লিঙ্গ, নাম, পেশা, ধর্ম, মোবাইল নাম্বার, জন্মস্থান (দেশ ও জেলার নাম), জন্মতারিখ এবং জাতীয়তা পূরণ করতে হবে।

Personal Information অংশটুকু খুবই সতর্কতার সাথে ফিলাপ করা উচিত। এই অংশটি পূরণ করার সময় দুইটি কাগজ অবশ্যই সাথে রাখুন। ১. জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন, ২. এসএসসি সার্টিফিকেট। নির্ভুলভাবে আবেদন করতে চাইলে, আপনার এই দুইটি কাগজে অবশ্যই সব তথ্য মিল থাকতে হবে। যদি অমিল থাকে তাহলে দ্রুত সংশোধন করে তারপর পাসপোর্টের আবেদন করুন।

  • ১. জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ
  • ২. এসএসসি সার্টিফিকেট

নির্ভুলভাবে আবেদন করতে চাইলে, আপনার এই দুইটি কাগজে অবশ্যই সব তথ্য মিল থাকতে হবে। যদি অমিল থাকে তাহলে দ্রুত সংশোধন করে তারপর পাসপোর্টের আবেদন করুন।

Personal Information
Personal Information

আপনি যদি নিজের জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে I apply for myself লেখার পাশে টিক চিহ্নে ক্লিক করবেন। এর ফলে ই-পাসপোর্ট অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময় আপনার এন্ট্রি করা নাম ও মোবাইল নাম্বার স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে। এরপরে আপনি বাকি তথ্যগুলো (লিঙ্গ, পেশা, ধর্ম, জন্মস্থান, জন্মতারিখ, ও জাতীয়তা) আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন ও এসএসসি সার্টিফিকেট অনুযায়ী ইনপুট করতে হবে।

Birth data

এবার আপনার জন্মস্থান (দেশ ও জেলার নাম) ও জন্ম তারিখ বাছাই করুন।

Citizenship information

যেহেতু আমরা জন্মগতভাবে বাংলাদেশের নাগরিক, সে ক্ষেত্রে “BY BIRTH” অপশনটি নির্বাচন করবো। এবং “Save and continue” বাটনে ক্লিক কর পরবর্তী ধাপে যাবেন।


আর যদি আপনি অন্যজনের জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে, তাহলে I apply for myself লেখার পাশে টিক চিহ্নে ক্লিক করবেন না। এবার আবেদনকারীর নিম্নোক্ত তথ্যগুলো ইনপুট করুন।

আপনার কি এক শব্দের নাম? কিংবা নাম কীভাবে লিখবেন ঠিক বুঝতে পারবেন না?
আপনার নামের আগে বা পরে কিছু না থাকলে শুধুমাত্র Surname এর জায়গায় আপনার এক শব্দের নাম লিখবেন। আর দুইয়ের অধিক শব্দের নামের ক্ষেত্রে Given Name এর জায়গায় নামের প্রথম অংশ এবং Surname এর জায়গায় নামের শেষ অংশ লিখবেন। নাম নিয়ে কনফিউশন থাকলে এখানে ক্লিক করুন।

MD এর পর ডট দিবো? পাসপোর্টের নিয়ম অনুযায়ী MD এর পরে ডট বসে না। MD এর পর ডট দেওয়ার প্রয়োজন নাই।

এভাবে আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ইনপুট করতে হবে। যেমন: লিঙ্গ, নাম, পেশা, ধর্ম, মোবাইল নাম্বার, জন্মস্থান (দেশ ও জেলার নাম), জন্মতারিখ এবং জাতীয়তা পূরণ করতে হবে। সব তথ্য দেওয়ার পর “Save and continue” বাটনে ক্লিক কর পরবর্তী ধাপে যাবেন।

মোবাইল নাম্বার লিখার পর Send SMS application status information also to this phone number (mobile numbers only) এর পাশে থাকা বক্সে ঠিক চিহ্ন দিয়ে দিবেন। পাসপোর্ট বিষয়ক সকল SMS আপনার এই নাম্বারে আসবে।

ধাপ ১০: Address Information

ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে পুলিশ ভেরিফিকেশন। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বা ভেরিফিকেশনের জন্য ব্যক্তির বর্তমান ঠিকানা সঠিক ভাবে ইনপুট করতে হয়। জাতীয় পরিচয় পত্রের পেছনের অংশে থাকা ঠিকানা অনুসারে ঠিকানার তথ্য পূরণ করা উচিত।

ঠিকানা নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিচের পয়েন্ট গুলো খেয়াল রাখবেনঃ-

  • জেলার নাম
  • থানার নাম
  • গ্রামের নাম
  • রোড নাম্বার
  • পোস্ট অফিস
  • পোস্ট কোড

Note: The present address is subject to RPO/BM. The RPO will reject your application if it does not belong to their jurisdiction. Your payment for the passport may be void and is not reimbursed if the information is incorrect!

  1. City/Village/House is required.
  2. Current City/Village/House is required.
  3. Current Post Office is required.
  4. Select district is required.

প্রত্যেকটি তথ্য যচাই বাছাই করে সঠিক ভাবে দেয়ার চেষ্টা করবেন। বিশেষ করে ঠিকানার বিষয়টি একটু গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। কেননা আপনার দেয়া এই ঠিকানায় পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আপনার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা একই হলে “Present Address same as Permanent” এটি নির্বাচন করে দিলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানায় একই ঠিকানা বসে যাবে।

বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা ভিন্ন হলে আপনার ঠিকানা আলাদা ভাবে ইনপুট করে দিতে হবে। ঠিকানা দুটি ভিন্ন হলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বা থানা ভেরিফিকেশন উভয় ঠিকানায় হবে।

৮.ID documents

এই ধাপে আপনার আগের কোন পাসপোর্ট ছিল কিনা এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে। আপনার আগে যদি কোন MRP Passport বা ই-পাসপোর্ট থেকে থাকে তা হলে সেটি নির্বাচন করে দিতে হবে। আর যদি একেবারে নতুন পাসপোর্ট আবেদন হয় তা হলে “No, I don’t have any previous passport” এটি সিলেক্ট করতে হবে। যাদের হাতের লিখা পাসপোর্ট ছিলো তারাও এটি নির্বাচন করবেন।

আপনার যদি অন্য কোন দেশের পাসপোর্ট থেকে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার ঐ পাসপোর্ট সম্পর্কে তথ্য দিয়ে হবে। ধরে নিলাম আপনার অন্য কোন দেশের পাসপোর্ট নেই। তাই উপরে দেখান ছবির মত অন্য দেশের পাসপোর্ট সম্পর্কে জানতে চাওয়ার ঘরে “No, I don’t have” নির্বাচন করবেন।

ID Documents এর সর্বশেষ ঘরে বেক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার ইনপুট করতে হবে। আবেদনকারীর বয়স ২০ বছরের কম হলে NID card অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ব্যাবহার করতে পারবে। তথ্য প্রদান হয়ে গেলে সেইভ বাটনে চেপে পরবর্তী ধাপে জেতে হবে।

৯.Parental information

এখন আপনাকে আপনার পিতা মাতার তথ্য প্রদান করতে বলা হবে। ই-পাসপোর্টের Parental information স্থলে পিতা-মাতার নাম, তাদের পেশা, তাদের জাতীয়তা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার দিয়ে ফরমটি পূরণ করতে হয়।

বাবা-মায়ের যে সকল তথ্য অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন করতে প্রয়োজন তা লিস্ট আকারে উপস্থাপন করা হল

  1. পিতার নাম (same as NID card)
  2. পেশা
  3. পিতার জাতীয়তা ও
  4. NID Card Number
  5. মাতার নাম (same as NID card)
  6. পেশা
  7. মাতার জাতীয়তা ও
  8. NID Card Number

১০.বৈবাহিক অবস্থা

আবেদনকারীর বৈবাহিক অবস্থা অনুসারে বিবাহিত না অবিবাহিত এই তথ্য জানাতে চাওয়া হবে। এই পর্যায়ে আপনি Marital Status বাছাই করার জন্য একটি ড্রপ-ডাউন মেনু পাবেন। ড্রপ-ডাউন অপশন গুলো থেকে আপনার জন্য যেটি প্রযোজ্য তা বাছাই করুন।

বৈবাহিক আবস্থার ঘরে SINGLE, MARRIED, DIVORCED,WIDOWER or WIDOW এই অপশন গুলো থাকে। এখান থেকে আপনার অবস্থা অনুসারে একটি অপশন বাসাই করুন।

১১.Emergency Contact

জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ করার জন্য একজনের তথ্য দিতে হবে। পরিবারের সদস্য যেমন বাবা, মা কিংবা ভাইয়ের ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে যার সাথে যোগাযোগ করবে, তার ঠিকানা জাতীয় পরিচয়পত্রে যে ভাবে আছে সে ভাবে দেয়া ভালো।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর ক্ষেত্রে Emergency contact নাম্বারে যোগাযোগ করা হয়। তা ছাড়া কোন কারণে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে বার্থ হলে এই ঠিকানা বা মোবাইল নাম্বার ব্যাবহার করা হবে।

১২.পাসপোর্টের ধরন

Passport Option বা পাসপোর্টের ধরনে আপনি আপনার পাসপোর্টের পৃষ্ঠা ও মেয়াদ বাছাই করতে পারেন। আপনার বিদেশ ভ্রমণ ও প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠা আনুসারে ৪৮ পৃষ্ঠা কিংবা ৬৪ পৃষ্ঠার যে কোন একটি বাছাই করুন। আপনি যদি খুব বেশি ট্রাভেল করে থাকেন থাহলে ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট নিতে পারেন। অন্যথা ৪৮ পৃষ্ঠাই যথেষ্ট।পাসপোর্টের ধরন বাছাই

পৃষ্ঠা সংখ্যা নির্ধারণ হয়ে গেলে ই-পাসপোর্টের মেয়াদ সিলেক্ট করতে হবে। ৫ বছর কিংবা ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করা যায়। আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে পাসপোর্ট এর মেয়াদ নির্বাচন করুন। মনে রাকবেন পৃষ্ঠা সংখ্যা ও মেয়াদের উপর ই-পাসপোর্ট ফি নির্ধারিত হবে।

১৩.ডেলিভারির ধরন

পাসপোর্ট ডেলিভারি ৩ ধরনের হয়ে থাকে রেগুলার, এক্সপ্রেস এবং সুপার এক্সপ্রেস। জরুরি বা ইমেরজেন্সি পাসপোর্ট করতে Express Delivery বা Super Express বাছাই করতে পারেন।

Regular Delivery

রেগুলার ডেলিভারিতে পাসপোর্ট হাতে পেতে সাধারণত ১৫ দিন থেক ২০ দিন সময় লাগে। অন্যান্য বিষয় যেমন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ঠিক থাকলে ১৫ দিনের মধ্যেই ই-পাসপোর্ট হাতে চলে আসে।

Express Delivery

যারা জরুরি কাজে বিদেশ যাবে, আল্প সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট হাতে পেতে হবে, তাদের জন্য এক্সপ্রেস ডেলিভারি অপশন। সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই Express Delivery তে পাসপোর্ট পাওয়া যায়।

Super Express

এটি অনলাইনে করা যায় না। সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি পাওয়ার জন্য পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে হয়। তার সাথে সাথে Pre-Police verification এর প্রয়োজন হয়। এতে ৭ দিনের ও কম সময়ে পাসপোর্ট বের হয়ে যায়।note:

ডেলিভারির ধরনের উপর পাসপোর্ট ফি কম বেশি হয়ে থাকে।

১৪.ই-পাসপোর্ট ফি প্রদান

আবেদন সাবমিট করার আগে আবেদন সামারি থেক আপনার তথ্য গুলো পুনরায় যাচাই করে নিন। সবকিছু ঠিক থাকলে পাসপোর্ট ফি প্রদান করার পেজে চলে আসবেন। বর্তমানে ই-পাসপোর্ট ফি ২ ভাবে প্রদান করা যায়।

  • Online Payment
  • Offline Payment

ই-পাসপোর্ট অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে ফি প্রদান করার জন্য যেকোন মোবাইল ব্যাংকিং, ই-ওয়ালেট, ইন্টারনেট ব্যাংকিং অথবা কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। অনলিনে ফি প্রদানের ক্ষেত্রে আল্প কিছু চার্জ প্রযোজ্য হয়। অনলাইন পেমেন্ট শেষে পেমেন্ট স্লিপ প্রিন্ট করে নিতে হবে।অনলাইন ই-পাসপোর্ট ফি প্রদান

অফলাইনে পেমেন্ট করার ক্ষেত্রে পাসপোর্ট ফি জমা নেয় এমন ব্যাংক গিয়ে ব্যাংক ড্রাফট করতে হবে। ব্যাংক ড্রাফট করার জন্য আপনার আপ্লিকেশন সামারি সাথে করে নিয়ে জেতে হবে। অফলাইনে পাসপোর্ট ফি জমা দিয়ে আতরিক্ত কোন টাকা দিতে হয় না। সোনালী ব্যাংক, NTRC ব্যাংক সহ আরো কিছু ব্যাংক ই-পাসপোর্ট ফি জমা নেয়।

১৫.আবেদন কপি ও অ্যাপ্লিকেশন সামারি প্রিন্ট

পাসপোর্টের আবেদনটি সঠিকভাবে সাবমিট হয়ে গেলে আপনি আবেদনের কপি এবং Application summery প্রিন্ট অথবা pdf আকারে সংগ্রহ করতে হবে।পাসপোর্ট আবেদন কপি ও অ্যাপ্লিকেশন সামারি প্রিন্ট

অনলাইন আবেদন এবং পাসপোর্ট ফি প্রদান হয়ে গেলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র link সাথে নিয়ে আঞ্চলিক পাসপোর্ট আফিসে যেতে হবে। পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করে আপনার বায়মেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করবে। তারপর আপনাকে পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ দেয়া হবে। এই ডেলিভারি স্লিপ পরবর্তী সময়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে কাজে লাগবে।

১৬.ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ

এখন শুধু অপেক্ষার পালা। পুলিশ ভেরিফিকেশন বা ক্লিয়ারেন্সের জন্য আপনাকে থানায় ডাকা হতে পারে অথবা পুলিশ সদস্য আপনার এলাকায় যেতে পারে। পাসপোর্ট তৈরি হয়ে গেলে আপনার মোবাইলে SMS এর মাধ্যমে তা জানিয়ে দেয়া হবে।

ই-পাসপোর্ট হয়ে গেলে আপনাকে আবার পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে, ডেলিভারি টোকেন দেখিয়ে আপনার পাসপোর্টটি সংগ্রহ করতে হবে।

পাসপোর্ট আবেদন সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর

জরুরি ই-পাসপোর্ট করতে কত দিন লাগে?

জরুরী বা দ্রুত পাসপোর্ট করার জন্য Express Delivery ধরন বাছাই করতে হয়। Express ডেলিভারিতে পাসপোর্ট হাতে পেতে প্রায় ৭ দিন সময় লাগে। তবে সত্যি বলতে, পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য এই পরিষেবা বিঘ্নিত হতে পারে।

আমার MRP পাসপোর্ট ছিলো। এখন, E-Passport করবো কি করে?

আপনার মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (MRP) থেকে ই-পাসপোর্ট করার জন্য নতুন পাসপোর্টের মতই আবেদন করতে হয়। তবে এ ক্ষেত্রে ভিন্নতা হলো ID Documents এর স্থলে আপনার MRP পাসপোর্টের তথ্য দিতে হবে। Do you have any previous passports? এর উত্তরে Yes সিলেক্ট করবেন।

ই-পাসপোর্ট আবেদনে ভুল হলে কি করনীয়?

পাসপোর্টের ফি প্রদান করার আগ পর্যন্ত ই-পাসপোর্ট আবেদন সংশোধন করা যায়। চাইলে আবেদন বাতিল করে আবার নতুন করে আবেদন করা যাবে। তবে অনলাইন পেমেন্ট করা হয়ে গেলে সেটি বাতিল করে আবার করার ক্ষেত্রে টাকা ফেরতের সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়ার সময় কম্পিউটার অপারেটরকে জানাবেন তথ্য সংশোধন করে দেওয়ার জন্য।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Index