Passport

পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে?

পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে? ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জানুন। দেখে নিন, NID বা জন্ম নিবন্ধন থেকে শুরু করে পাসপোর্ট করতে কী কী কাগজ লাগতে পারে।

পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্র লাগে? পাসপোর্ট করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে এই পোস্ট সাজানো হয়েছে। দেশের বাহিরে যেকোনো প্রয়োজনে গমন করতে চাইলে সর্বপ্রথম যে জিনিসটা প্রয়োজন হয় তা হচ্ছে পাসপোর্ট। পাসপোর্ট আপনার আন্তর্জাতিক পরিচয় বহন করে। তাই, বিদেশ গমনের পূর্বে পাসপোর্ট তৈরি করা অত্যাবশ্যকীয় একটি কাজ।

চলুন দেখে নিই, বর্তমানে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে বা ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে। আর কোনো দালাল ছাড়া, কোনো ঝামেলা ছাড়া পাসপোর্টের প্রয়োজনীয় কাগজগুলো কীভাবে সাজাবেন। পাসপোর্ট করার সময় কোন কোন বিষয় খেয়াল রাখতে হবে ইত্যাদি বিষয় খুবই সংক্ষিপ্ত আকারে আলোচনা করা হবে। তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি মন দিয়ে পড়ুন।

পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

পাসপোর্ট ছাড়া বিদেশে ভ্রমণ অসম্ভব। আপনি কোন দেশে যেতে চাইলে প্রথমে আপনাকে পাসপোর্ট বানিয়ে নিতে হবে।

ই-পাসপোর্ট করতে আবেদনকারী যদি প্রাপ্ত বয়স্ক হয়, তাহলে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের  ফটোকপি, পাসপোর্ট আবেদন কপি, নাগরিকত্ব সদন, ফি প্রদানের কপি। পুরাতন পাসপোর্ট থাকলে মূল কপি ও ফটোকপি লাগবে। আপনি অনলাইন এবং অপলাইন দুটি পদ্ধতীর যেকোন একটিতে আবেদন করতে পারবেন। 

আর যদি পাসপোর্ট এর আবেদনকারী অপ্রাপ্ত বয়স্ক হয়। আমরা সাধারণত ১৮ বছরের কম বয়সীদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক বলে থাকি। কিন্তু পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে ১৫ বছরের কম বয়সীদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক ধরা হয়। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে বয়সভেদে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ভিন্নতা রয়েছে। ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য কী কী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র  লাগবে নিম্নে দেওয়া হলো-

ই-পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজ লাগে

অনলাইনে পূরণকৃত আবেদনপত্রটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট বের করতে হবে। অতঃপর এর সাথে সংযুক্ত করতে হবে এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং ব্যাংকের জমা রশিদ।

ই-পাসপোর্টের জন্য যে যে কাগজপত্র সাথে করে আনতে হবেঃ 

  • Application Summary: অনলাইনে আবেদনকৃত ফরমের প্রিন্ট কপি।
  • Print Summary: অনলাইন আবেদনপত্রের সারাংশের প্রিন্ট কপি।
  • Appointment Schedule: এপয়েন্টমেন্ট শিডিউলের প্রিন্ট করা কপি। (যদি লাগে)
  • Payment Slip: ফি জমা দেওয়ার রসিদ। (ই-চালান বা এ-চালান কপি)
  • Identity Documents: জাতীয় পরিচয় পত্রের/ জন্মনিবন্ধনের মূল কপি ও ফটোকপি।
  • Previous passport: পূরাতন পাসপোর্ট ও ফটোকপি। (যদি পাসপোর্ট থেকে থাকে।)
  • Professional credentials: পেশাগত প্রমাণপত্র। যেমন, অফিস আইডি কার্ড (চাকরীজীবীদের ক্ষেত্রে), শেষ পরীক্ষার সনদ (শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে)।
  • GO/NOC: সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে লাগবে।

List of required documents:

  • Printed application summary
  • Identity documents (NID or Birth Registration Certificate)
  • Payment Slip including AChallan or eChallan
  • Previous passport (if any)
  • GO/NOC for govt. employee(if any)
  • Additional documents depending on the application
  • Printed Application Form

এছাড়াও, এই বিষয়গুলোও খেয়াল রাখতে হবে:

  • ১৮ বছরের কম বয়সী আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে জন্ম সনদের সাথে পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দিতে হবে। 
  • ৬ বছরে কম বয়সীদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট সাইজের ও 3R সাইজের ম্যাট পেপারে রঙ্গিন ছবি।
  • নিজের বা পিতা-মাতার নাম, জন্ম তারিখ ইত্যাদির ক্ষেত্রে তথ্য পরিবর্তন করা যাবে না।
  • ফরম পূরণ ও ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার সময় নামের বানানে ডট, হাইফেন, কমা থাকলে তা ব্যবহার করা যাবে না।
  • পাসপোর্ট ফি অনলাইনে দেওয়া যাবে। তবে অফলাইনে এ-চালানের মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়া সবচেয়ে ভালো।
  • ১৮ বছরের নিচে এবং ৬৫ বছরের বেশী বয়সীরা কেবল মাত্র ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট পাবেন। অন্যরা ১০ বছরের পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন।

কিছু কিছু ক্ষেত্র আবেদনে দেয়া তথ্য যাচাইয়ের জন্য কিছু কাগজপত্র সংযোজনের প্রয়োজন হতে পারে। যেমন- ঠিকানা, জন্ম সনদ, পুলিশ রিপোর্ট (পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে), এনওসি সনদ, অফিস আইডি কার্ড (চাকরীজীবীদের ক্ষেত্রে), শেষ পরীক্ষার সনদ (শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে)।

যেভাবে আবেদন করলে দ্রুত ই-পাসপোর্ট পাওয়া যাবে

  • দেশের অভ্যন্তরে রেগুলার পাসপোর্ট পাওয়ার লক্ষ্যে পাসপোর্ট আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জমা দিলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ই-পাসপোর্ট পাওয়া যাবে।
  • দেশের অভ্যন্তরে জরুরী পাসপোর্ট পাওয়ার লক্ষ্যে পাসপোর্ট আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জমা দিলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ই-পাসপোর্ট পাওয়া যাবে।
  • দেশের অভ্যন্তরে অতি জরুরী পাসপোর্ট পাওয়ার লক্ষ্যে পাসপোর্ট আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জমা দিলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ২ কার্যদিবসের মধ্যে ই-পাসপোর্ট পাওয়া যাবে।

যদি সব প্রয়োজনীয় কাগজগুলি আপনার কাছে থাকে, তবে ই-পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়াটি সহজ হতে পারে। এই নির্দেশিকা অনুসরণ করুন এবং শীঘ্রই আপনি আপনার ই-পাসপোর্ট অবিঘাতে পেতে যাচ্ছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Index