শিশু বা ছোট বাচ্চাদের পাসপোর্ট করার নিয়ম
আপনার শিশুর জন্য পাসপোর্ট করতে চাচ্ছেন? বাচ্চাদের ই-পাসপোর্ট কিভাবে করবেন? চলুন দেখে নেই, অপ্রাপ্তবয়স্ক বা বাচ্চাদের পাসপোর্ট করার নিয়ম।

বাচ্চার জন্য পাসপোর্ট করতে চাচ্ছেন? জানতে চাচ্ছেন, বাচ্চাদের ই-পাসপোর্ট কিভাবে করবেন? চলুন দেখে নেই, অপ্রাপ্তবয়স্কদের বা বাচ্চাদের ই-পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম। প্রথমেই বলে রাখি, শিশু বা অপ্রাপ্তবয়স্কদের ই-পাসপোর্টের জন্য সর্বপ্রথম অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করে নিতে হবে। কেননা, জন্ম নিবন্ধন করা করা ছাড়া বাচ্চাদের পাসপোর্টের আবেদন করা যায় না।
অপ্রাপ্তবয়স্ক বলতে আমরা সাধারণত ১৮ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিকে বুঝি। কিন্তু, পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে ১৫ বছরের কম বছর বয়সীদের ব্যক্তিকে শিশু বা অপ্রাপ্ত বয়স্ক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত বয়স্ক বা শিশু সকলের আবেদন প্রক্রিয়া ও ফি একই অর্থাৎ কোন পার্থক্য নেই। তবে শিশু বা অপ্রাপ্ত বয়স্ক দের ক্ষেত্রে বয়সভেদে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে।
বাচ্চাদের পাসপোর্ট করার নিয়ম
বাংলাদেশের সব বয়সের প্রতিটি নাগরিকের জন্য ই-পাসপোর্টের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তর অভিন্ন আবেদন পদ্ধতির মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট ইস্যু করে থাকে। তবে বয়স ও পেশার ভিত্তিতে সেই আবেদনের নিয়মে অল্প কিছু পার্থক্য আছে। নবজাতক থেকে অনুর্ধ্ব ৬ বছর এবং তারপর থেকে অনুর্ধ্ব ১৮ বছরের শিশুদের জন্য আবেদনের প্রয়োজনীয় নথিপত্রে সামান্য তারতম্য থাকে। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ই-পাসপোর্ট আবেদনের এই নিয়ম নিয়েই আজকের নিবন্ধ।

জেনে নিন শিশুদের ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম
আপনি যদি আপনার বাচ্চার জন্য ই-পাসপোর্ট আবেদন করতে চান, তাহলে এই ভিডিওটি দেখতে পারেন। এই ভিডিওতে, বাচ্চাদের পাসপোর্ট করার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কিভাবে আপনি আপনার বাচ্চার জন্য ই-পাসপোর্ট এর আবেদন করতে পারবেন? চলুন ভিডিওটি দেখে নেই।
অপ্রাপ্ত বয়স্ক বা শিশুদের ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম
অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করতে হলে ইমেইল আইডির প্রয়োজন হয়। তাই, বাবা-মায়ের কিংবা অভিভাবকদের ইমেইল থাকলে সেটা দিয়ে epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে কিছু তথ্য দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে ভেরিফাই করে নিতে হবে। অ্যাকাউন্ট খোলার অনলাইনে ফরম ফিলাপ করতে হবে। চলুন শিশুর জন্য ই-পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।
অনলাইনে ফরম ফিলাপ করতে গিয়ে যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে, নিচের লিংকে গিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আরও পড়ুন: ঘরে বসে ই-পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম (২০২৪)।
বাচ্চাদের পাসপোর্ট করতে কী কী কাগজ লাগবে?
- অনলাইন ই-পাসপোর্ট আবেদন কপি।
- অনলাইন পাসপোর্ট শিডিউল কপি।
- জন্মনিবন্ধন সনদ।
- বাবা ও মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি।
- নাগরিক সনদ।
- 3R সাইজের রঙিন ছবি (ব্যাকগ্রাউন্ড হবে ধূসর)
- শিশু, বাবা ও মায়ের এক কপি করে পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- শিশুর বাবা-মা কেউ সরকারী চাকরিজীবী হলে এনওসি এর কপি।
- পাসপোর্ট ফি পরিশোধের চালান কপি।
ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি
হাতে লেখা বা কম্পিউটারে মুদ্রণকৃত জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র এখন আর ব্যবহৃত হয় না। তাই বাচ্চাদের ই-পাসপোর্টের জন্য প্রথমে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করে নিতে হবে। জন্ম সনদটি অনলাইনে নিবন্ধিত কিনা তা বাংলাদেশের জাতীয় জন্ম ও মৃত্য নিবন্ধনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যাচাই করা যায়। এখানে জন্ম সনদপত্রে থাকা জন্ম নিবন্ধন সংখ্যা ও জন্ম তারিখ দেয়ার পর যদি জন্ম সনদটি প্রদর্শিত হয়, তবেই তা ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য তা গ্রহণযোগ্য হবে।
আরো দেখুন: জন্ম নিবন্ধন যাচাই করুন।
বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
বাংলাদেশ পাসপোর্ট নীতি অনুযায়ী ৬ থেকে ২০ বছরের নাগরিকদের পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনের পাশাপাশি বাবা ও মায়ের প্রত্যেকের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি প্রয়োজন। বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের নামে ইংরেজি বানানের সঙ্গে সন্তানের জন্ম সনদে বাবা বা মায়ের নামের বানান মিল থাকা আবশ্যক। সামান্য ভুল থাকলেও তা আগে থেকেই সংশোধন করে নিতে হবে।
3R সাইজের ছবি (শুধুমাত্র অনুর্ধ্ব ৬ বছরের শিশুদের জন্য)।
ছয় বছরের নিচের শিশুদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসে ছবি তোলার সময় জটিলতা সৃষ্টি হয়। তাই এদের ক্ষেত্রে ল্যাবে প্রিন্ট করা 3R থ্রি-আর সাইজের ধূসর ব্যাকগ্রাউন্ডের এক কপি ছবি আবেদনপত্র জমা দেয়ার সময় সঙ্গে করে পাসপোর্ট অফিসে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু শিশুর বয়স ছয় বছরের বেশি হলে কোনো ছবির দরকার নেই।

Prints | Inches | CM |
---|---|---|
3R | 3.5 x 5 | 8.89 x 12.7 |
পাসপোর্ট ফি পরিশোধের চালান কপি
ই-পাসপোর্ট ফি পরিশোধের চালান অনলাইনে সরাসরি বাংলাদেশ সরকারের প্রাপ্তি বাতায়ন ই-চালান ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে। অতঃপর তা পূরণ করে নিকটস্থ যেকোনো সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংকে জমা দেওয়া যাবে। তাছাড়া ব্যাংক এশিয়া, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক পাসপোর্ট ফি পরিশোধের চালান নিয়ে থাকে। চালান নেয়ার পর ব্যাংক থেকে চালানের গ্রাহক কপিসহ একটি জমা রশিদ দেওয়া হবে।
আমি ব্যাক্তিগতভাবে অফলাইনে টাকা দেওয়া পছন্দ করি। আপনারা এ-চালানের মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করবেন। এতে করে পরবর্তীতে আবেদন বাতিল করলেও একই চালান দিয়ে আবেদন করা যাবে।
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনপত্র ও শিডিউল কপি
ই-পাসপোর্ট আবেদন সম্পন্ন হলে একদম শেষে প্রিন্ট সামারি থেকে এক পৃষ্ঠার অনলাইন ই-পাসপোর্ট শিডিউল কপি পাওয়া যাবে। আর ডাউনলোড অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম-এ ক্লিক করলে তিন পৃষ্ঠার ই-পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন কপি পাওয়া যাবে।
শিশুদের ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইন আবেদন পদ্ধতি
শুরুতেই বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট অনলাইন পোর্টালে যেয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার, ইমেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে। অতঃপর ড্যাশবোর্ডের ওপরের মেনু থেকে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে ক্লিক করে প্রথমে আবেদনকারির জেলা ও থানা নির্বাচন করতে হবে। এরপরের ধাপেই ব্যক্তিগত তথ্যাদি দেওয়ার পালা। এ অংশে শিশুর জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রের অনুরূপ তথ্য দিতে হবে। এখানে পেশার ক্ষেত্রে আদার্স তথা অন্যান্য নির্বাচন করাটা উপযুক্ত।
১৮ বছরের নিচে যে কোনো বয়সের শিশুর জন্য শুধুমাত্র পাঁচ বছর মেয়াদী ৪৮ পাতার পাসপোর্ট নির্বাচন করতে হবে।
ই-পাসপোর্ট আবেদনপত্র জমা
যাবতীয় নথিসহ আবেদনপত্রটি জমার জন্য চলে যেতে হবে আপনার থানার আওতাধীন পাসপোর্ট অফিসে। ঢাকার বাইরে হলে আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে। এ সময় জন্ম নিবন্ধন সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্রগুলোর সঙ্গে সেগুলোর মূল কপিও সঙ্গে রাখতে হবে। শিশুর থ্রি-আর সাইজ ছবি আলাদা রাখতে হবে।
অনুর্ধ্ব ছয় বছর বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নথিসহ আবেদনপত্র জমা নিয়েই ই-পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ দেয়া হবে। কারণ ছয় বছরের কম বয়সীদের বায়োমেট্রিক নেওয়া হয় না। থ্রি-আর ছবিটিকেই ই-পাসপোর্টে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ছয় বছরের বেশি বয়সের শিশুদের ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিকের জন্য সাক্ষাতকারের শিডিউল দেওয়া হয়। বায়োমেট্রিক নেয়ার পর পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ দেওয়া হয়।
ই-পাসপোর্ট আবেদন ফি
বাংলাদেশে অপ্রাপ্তবয়স্ক ও প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের ক্ষেত্রেই ই-পাসপোর্ট আবেদন ফি সমান। পাঁচ বছর মেয়াদি ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের জন্য নিয়মিত/সাধারণ ডেলিভারি ফি চার হাজার ২৫ টাকা। এক্সপ্রেস সেবার জন্য ছয় হাজার ৩২৫ টাকা ও সুপার এক্সপ্রেস হলে আট হাজার ৬২৫ টাকা দিতে হয়। (রিনিউ করার সময় আপনি সুপার এক্সপ্রেস সুবিধা পাবেন)। দেশের ভেতরে ই-পাসপোর্ট ফিয়ের সঙ্গে ১৫% ভ্যাট থাকে। এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন:
আরো দেখুন: পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?
শিশুদের ই-পাসপোর্ট করতে কত দিন লাগে
নিয়মিত/সাধারণ ই-পাসপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ডেলিভারি স্লিপ হাতে পাওয়ার দিন থেকে ১৫ অথবা ২১ কার্যদিবস। এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে এই সময়টি কমে আসে সাত অথবা ১০ কার্যদিবসে। আর সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে পাসপোর্ট হাতে আসতে সময় লাগে মাত্র দুই কার্যদিবস। তবে এই সুপার এক্সপ্রেস সুবিধাটি শুধুমাত্র আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস থেকে পাওয়া যায়।
সরকারি চাকরিজীবীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে অনাপত্তিপত্র অথবা পিআরএল (অবসরোত্তর ছুটি) সনদের মাধ্যমে নিয়মিত/সাধারণ ফিতে এক্সপ্রেস ডেলিভারি সেবা পাওয়া যায়।
কিছু বিষয় মাথায় রাখবেন
- ১। ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম ফিলাপ করার শেষ ধাপে অ্যাপ্লিকেশন সাবমিটেড অপশন, প্রিন্ট সামারি এবং ডাউনলোড অ্যাপ্লিকেশন ফরম অব প্রিন্টিং বাটন পেয়ে যাবেন। এখানে তিন পৃষ্ঠার ই-পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন কপি এবং ১ পৃষ্ঠার অনলাইন পাসপোর্ট শিডিউল পাবেন। এগুলো ডাউনলোড করে নিচে থাকা বারকোডসহ এ ফোর সাইজ কাগজে প্রিন্ট করে নিতে হবে।
- ২। শিশুর জন্মনিবন্ধন সনদ হতে হবে ডিজিটাল বা ইংরেজি ভার্সনে, যা অনলাইন থেকে ভেরিফাই করা যাবে। https://everify.bdris.gov.bd/ এই লিংকে গিয়ে যাচাই করে দেখতে পারেন জন্মনিবন্ধনের তথ্য পাওয়া যায় কিনা। পাওয়া গেলে সেটি ই-পাসপোর্টের জন্য উপযুক্ত। না থাকলে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করে নিতে হবে।
- ৩। ই-পাসপোর্ট ফি পরিশোধের চালান অনলাইনে সরাসরি বাংলাদেশ সরকারের প্রাপ্তি বাতায়ন ই-চালান ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে। এরপর সেটি পূরণ করে নিকটস্থ যেকোনো সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংকে জমা দেওয়া যাবে। তাছাড়া ব্যাংক এশিয়া, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক পাসপোর্ট ফি পরিশোধের চালান নিয়ে থাকে। চালান নেওয়ার পর ব্যাংক থেকে চালানের গ্রাহক কপিসহ একটি জমা রশিদ দেওয়া হবে। নিজে চাইলেও এ চালানের মাধ্যমে মাস্টার কার্ড ব্যবহার করে অথবা বিকাশ ও রকেট ব্যবহার করে ই-পাসপোর্ট ফি দিতে পারবেন।
- ৪। ছয় বছরের নিচে শিশুদের জন্য ছবি থেকে ছবি তোলা হয়। সেজন্য ধূসর ব্যাকগ্রাউন্ডে থ্রিআর সাইজের রঙিন ছবি নিয়ে যেতে হবে। ছবিতে শিশুর মাথা যেন সোজা থাকে এবং পরনে রঙিন পোশাক থাকে।
- ৫। অবশ্যই বাবা-মায়ের নির্ভুল এনআইডি কার্ডের কপি লাগবে। শিশুর জন্মনিবন্ধন সনদে বাবা-মায়ের নামের বানান এবং এনআইডি কার্ডের নামের বানান যেন একই হয়।
- ৬। অনলাইনে আবেদন ফরম ফিলাপের সময় শিশুর পেশার জায়গায় ‘আদার্স’ সিলেক্ট করবেন। অনেক জায়গায় এই পেশা সিলেকশন নিয়ে ভালো ঝামেলা করে। তাই ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে হেল্প চেয়ে নিবেন, জেনে নিবেন।
- ৭। ১৮ বছরের নিচের শিশুদের জন্য ৫ বছর মেয়াদে ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট দেওয়া হয়।
- ৮। কাগজপত্র জমা দেওয়ার সময় শিশুর জন্মনিবন্ধন সনদের অরিজিনাল কপি ও শিশুকে অবশ্যই সঙ্গে রাখবেন। বাবা মায়ের এনআইডি কার্ডের আসল কপিও সঙ্গে রাখতে হবে।
- ৯। ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য কোনও ছবি বা ডকুমেন্ট সত্যায়িত করার প্রয়োজন নেই।
- ১০। প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র জমা দিতে হবে থানার আওতাধীন পাসপোর্ট অফিসে।
শেষ কথা
বর্তমানে অনলাইন পদ্ধতিতে আবেদনের ফলে, অপ্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের বা বাচ্চাদের পাসপোর্ট করার নিয়ম খুব সহজ হয়ে গেছে। এছাড়া, এখন ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য কাগজপত্রের সত্যায়ন প্রয়োজন হয় না। যেহেতু তারা কোনো ধরনের শিক্ষাগত সার্টিফিকেট প্রাপ্তির আগেই এই সেবা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে, তাই ভবিষ্যতেও তাদের পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্র জনিত কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না। জাতীয় পরিচয়পত্রসহ এসএসসি, এইচএসসি, টিন সার্টিফিকেট সব ক্ষেত্রে একই তথ্য দেয়ার মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ের কাজগুলোতে কোনো রকম ঝামেলা পোহাতে হবে না।
সূত্র: ডেইলি স্টার, বাংলা ট্রিবিউন।